Logo

রাজনীতি    >>   ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ রোববার (১ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, আদালত জানিয়েছে যে, বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ছিল।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং ৩ শতাধিক আহত হন। এই হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা। হামলার ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের হয় এবং দীর্ঘ তদন্ত শেষে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় বিএনপির নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন এবং হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২২ জন আসামি হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ২০১১ সালে ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়, ফলে মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এই মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। এছাড়াও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে, ওই বছরের ২৭ নভেম্বর এই রায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে এবং আসামিরা আপিল করেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়, যা পরবর্তীতে নতুন বেঞ্চে আবার শুরু হয়।

এখন হাইকোর্টের রায়ে আসামিরা খালাস পেলেন এবং বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়ের ফলে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামিরা নতুন করে মুক্তি পেলেন।

২১ আগস্টের এই গ্রেনেড হামলা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক জঘন্য ঘটনা, যেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছিল। হামলার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা, তবে এটি সফল হয়নি এবং এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে রূপ নেয়।

এদিকে, এই রায়টি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ নেতাদের জন্য একটি বড় জয় হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিভিন্ন মতামত প্রদান করছেন, যা দেশের রাজনীতির নতুন মাত্রা তৈরি করতে পারে।

এই রায়ের পরে, রাজনৈতিক মহল ও জনগণের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক নেতা রায়টিকে স্বাগত জানিয়েছে, অন্যদিকে কিছুজন মনে করছেন, এটি দেশের বিচার ব্যবস্থায় একটি বড় প্রশ্ন উঠিয়ে দিয়েছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert